০Like
১৮৮৭ সালের সিভিল কোর্টস আইনের সংশোধিত ৪(৩) ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই রুল দেন।
আইনসচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
একই সঙ্গে সংশোধিত আইনের ৪(৩) ধারা অনুসারে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলা তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতে স্থানান্তর না করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাইদুল আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
১৮৮৭ সালের সিভিল কোর্টস আইন সংশোধন করে ১২ মে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। সংশোধিত আইন অনুসারে, একজন সহকারী জজ দুই লাখের পরিবর্তে ১৫ লাখ, জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ চার লাখের পরিবর্তে ২৫ লাখ এবং জেলা জজ পাঁচ লাখের পরিবর্তে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যমানের মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবেন। সংশোধিত আইনের ৪(৩) ধারায় বলা হয়েছে, পাঁচ লাখ থেকে পাঁচ কোটি টাকার যেসব দেওয়ানি মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে, সেগুলো গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতে ফেরত পাঠাতে হবে। সংশোধিত আইনের এই ৪(৩) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাইদুল আলম খানসহ চারজন আইনজীবী গতকাল রোববার রিট আবেদনটি করেন।
No comments:
Post a Comment